শহরনামা
- একটি গল্প লেখার অপপ্রচেষ্টা
প্রথম প্রকাশ
২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩
কুষ্টিয়া
উৎসর্গ
উৎসাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। উৎসাহ পেলে অনেক জটিল কঠিন কাজও সহজে করার পথ বের হয়ে আসে। এই অধ্যায়টি শুরু করার পিছনে ইয়াসিন আরাফাত অর্ণব ভাইয়ের উৎসাহ পেয়েছিলাম। আপনার এই উপকারটি আমি কখনও ভুলবো না।
কিছু কথা(সরাসরি প্রিন্ট কপি থেকে)
অগ্রীম মাফ চেয়ে নিচ্ছি এরকম অর্বাচীন ভঙ্গীর বই লেখার জন্য। মনে প্রশ্ন আসতে পারে কেন গল্পটি অধ্যায় অধ্যায় করে প্রকাশ করছি? গল্পটি অনেক বড়। এরকম গল্পগুলো অনেক সময় মুঠোফোনে ঘুরে ঘুরে অসমাপ্ত রয়ে যায়। পাঠকরা হতাশ হন। এছাড়াও অনেকে অভিযোগ দেন মুঠোফোনে বই পড়তে ভাল লাগে না, তারা কাগজেই খুশি।
ফান্ডিং সম্পর্কিত জটিলতা এবং সবকিছু মিলিয়ে ভাবলাম, এত বড় একটা গল্প লেখবো আর সেটা প্রকাশ হতে এত দেরী হবে? গল্পটা প্রকাশের লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই অধ্যায় অধ্যায় করে লেখবো এবং প্রকাশ করব এই চিন্তা করে বইটা এভাবে বের করা।
ভিন্ন আঙ্গিকে কিছু লেখার চেষ্টা করছি। মুঠোফোনের জমানায় যেখানে মুখবই নিয়ে মানুষ ব্যস্ত, সেখানে জানিনা আপনারা বইটি নিয়ে কি ভাববেন, কিংবা আপনাদের কাছে পৌঁছতে কতটুকু সফল হব। তবে আশা আছে পাঠকরা আমাকে সফল করবেন।
মোঃ সোহান আরাফাত
কুষ্টিয়া
২৬ শে আগস্ট, ২০২৩
পূর্বকথা
আমরা যে গল্পটি শুরু করব এর সূত্রপাত কবে হয়েছিল এটা ঠিক করে বলা মুশকিল। এটা ১৯৭১ সালেও হতে পারে, '৯৪ সালেও হতে পারে আবার '৯৮ তেও হতে পারে। আমরা বরং '৮০ সাল থেকে শুরু করি।
তখন চিঠির যুগ চলছে। দেশে এরকমও জায়গা আছে যেখানে যেতে হলে বেশ কয়েক কিলো পায়ে হেঁটে যেতে হয়। একদিন এক লোক দূরবর্তী এক এলাকায় যাওয়ার জন্য কাঁধে ঝুলি নিয়ে হাঁটছেন। তখন রাত হয়ে গেছে। তিনি খুব সাবধানে এগোচ্ছেন। হঠাৎ করে পিছন থেকে মাথার উপরে একটা আঘাত পেয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন।
তিনদিন পর একদল লোক একই রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে দেখলেন একটা মরদেহ শকুনে খাচ্ছে। এধরণের দৃশ্য দেখার জন্য তারা কেওই প্রস্তুত ছিলেন না। পরে আশেপাশে গ্রামের ভিতর এই খবরটি ছড়িয়ে যায়। পুলিশ এসে তদবির করে কিছু খুঁজে পাননি। লাশের অবস্থা এমন ছিল যে মুখ দেখেও কিছু বোঝার উপায় ছিল না। শুধু এটুকু বোঝা গেছে যে লোকটি সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিলেন। পরবর্তীতে এই লাশটি এলাকার শ্মশানে পোড়ানো হয়। এই শকুন থেকেই জায়গাটির নাম হয় শকুনগঞ্জ।
কিন্তু শকুনগঞ্জ নামটা অনেকেরই পছন্দ ছিল না। তাই '৮৫ তে নতুন নামকরণ করা হল সুখেনগঞ্জ। পরে সেটি আস্তে ধীরে '৯০ সালের ভেতরে একটি শহরে পরিণত হয়।
আমাদের গল্পটা এই সুখেনগঞ্জ শহরটিকে নিয়ে।