ভণিতা
ভূমিকা না লেখে ভণিতা লেখার পেছনে অনেক কারণ আছে। একটা গল্প-কবিতা-কিছু একটা লেখতে হবে যেটা বৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু হুট করে গল্প কোথায় পাবো? একবার মনে হলো একটা প্রেমের গল্প লেখি। গল্পে একটা মেয়ে থাকবে। মেয়েটার নাম দেবো বর্ষা। হলো না বৃষ্টি রিলেটেড? কিন্তু এরকম "কুমিরের খাঁজকাটা খাঁজকাটা" মার্কা গল্প লেখলে আর কেও না হোক আমার উস্তাদ এবং এডমিন কষ্ট পাবে। নাহ, এসমস্ত কুকর্ম করা যাবে না। এর থেকে গল্পটা শুরু করা যাক।
এই গল্পটা যাকে নিয়ে শুরু হচ্ছে, সে একেবারেই অলস একজন ব্যাক্তি। আমার মতো তারও আজকে একটা লেখা সাবমিট করতে হবে, তবে সেটা গল্প নয়, একটা কবিতা। প্রেমের কবিতা। সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ছেলেটা কাঁথার নিচে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে। দরজা থেকে তার মা ডেকে উঠলো, "এই সাব্বির, ঘুম থেকে ওঠ। আর কত ঘুমাবি?”
ঘুম ভাঙতে মনে পড়লো,আজকে লেখা জমা দেয়ার লাস্ট ডেট। চটজলদি ফ্রেশ হয়ে এসে সে কবিতা লেখতে বসলো। কোনো কবিতাই তার মাথায় আসছে না। আজকেই জমা দেয়ার শেষ দিন, না দিতে পারলে, ক্যম্পাসে মান ইজ্জত যাবে। তার কাছে সমস্ত ব্যাপারটা দুঃস্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। ইশ এটা যদি একটা দুঃস্বপ্ন হত?
পেজ - ২
"এই সাব্বির, ঘুম থেকে ওঠ। আর কত ঘুমাবি?” ডাক শুনে দুম করে উঠে বসল, "উঠছি মা”, বলে ফ্রেশ হয়ে এসে কবিতা লেখতে বসলো। সে ভাবছে , ভাগ্যিস ওটা স্বপ্ন ছিলো। কিছু একটা লেখে দুপুরের মধ্যে লেখা শেষ করতে হবে। এর মধ্যে সাব্বিরের মা এক কাপ চা করে তার রুমে রেখে যায়। চায়ে চুমুক দিতে দিতে সে চিন্তা করছে কি লেখা যায়। চারিদিকে এত প্রেম অথচ তার মাথায় কবিতা আসছে না। অনেক চিন্তা করে খুব ছোট একটা কবিতা লেখলো,
"জানতে পারলে মনের কথা
প্রেমের কথা
রাগ করে।।
বলবে লোকে সেই ভয়েতে
খেদিয়ে সেরে
খুব কাঁদে।। ”
ব্যাস এটুকুই। দুপুরের খাওয়া সেরে কলেজে গেলো সাব্বির। মাত্র দুইদিন আগে জানতে পেরেছে এই কবিতার ব্যাপারে। স্যার জোর করলেন ,তাকে কবিতা দিতেই হবে। এর আগেও কলেজের ম্যাগাজিনে সে লিখেছে এবং তার লেখা ভালো।
"এত ছোট কবিতা?” স্যার আক্ষেপ করলেন। "স্যার আর মাথায় আসে নি কিছু। আপনি এইবার এটাই দেন।” এই বলেই সে বের হয়ে আসে। সন্ধ্যায় তানিয়ার সাথে দেখা করতে যাবে, বাসায় যাওয়া দরকার।
বাসায় গিয়ে সাব্বির দেখলো মেহমান এসেছে। মা বলল, "তুই একটু দেখ বাবা। তোর চাচারা হঠাৎ করে চলে এসেছে। এখন বাইরে কোথাও যাস না, তোর বড় ভাইয়া এসেছে। ” এসবের মধ্যে সাব্বির এর আর যাওয়া হলো না। তানিয়া কে একটা মেসেজে সব কিছু লেখে সে বাড়ির কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলো।
পেজ- ৩
কবিতা লেখতে গিয়ে সাব্বিরের মনে হলো , স্বপ্নে একটা কবিতা দেখেছে। মা তাকে চা দিয়ে গেলো। সে চায়ের দিকে তাকিয়ে ভাবছে, স্বপ্নে তো সে চাও খেলো। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। তার একটা কবিতা লেখার কথা… হঠাৎ চিন্তায় ছেদ পড়লো। মা কে ডেকে জিগেস করলো,
"আচ্ছা মা ,আজকে কি চাচার আসার কথা আছে?”
"এমন কিছু তো জানায় নি, তোকে কিছু বলেছে?”
"না আমাকেও কিছু জানায় নি।”
দুপুরে স্যারকে কবিতা দেখানোর পর ,স্যার আক্ষেপ করলেন, "এত ছোট কবিতা”, "কিছু মাথায় আসে নি। আপনি এটাই দেন।” এই বলেই সে বের হয়ে আসে। সন্ধ্যায় তানিয়ার সাথে দেখা করতে হবে। কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। বাসায় যাওয়ার পর মা বলল,"দেখ তোর চাচারা এসেছেন। উপরে যা...” ।কথা শেষ হবার আগেই সাব্বির বাসা থেকে ছুটে বের হয়ে আসলো।
----------------------------------------------------------
বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। একটা কবিতা লেখতে হবে। সাব্বির বুঝতে পারছে না। তার কাছে আতংক লাগছে। মা যখন ডাকার জন্য রুমে আসলো তখন সে চমকে উঠে চিৎকার দিয়ে বাইরে দৌড় দিলো। সকালে তার বাসার সামনে দিয়ে একজন বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলো। মাঝরাস্তায় বাইকের সাথে লেগে সাব্বিরের ডান হাতটা আলাদা হয়ে গেলো। অজ্ঞান হবার আগে তার মনে হলো সবাই তাকে ঘিরে চিৎকার করছে।
----------------------------------------------------------
ঘুম ভেঙ্গে গেলো সাব্বিরের। তার মা একবার ডেকে গেছেন। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। সে খুব ধীর পায়ে বাইরে গিয়ে খেয়াল করলো একটা বাইক তাদের বাসার সামনে দিয়ে যাচ্ছে। "আচ্ছা আমি কি তাহলে এই দিনটার মধ্যে আটকে গেলাম?”, সাব্বির ভেতরে এসে ফ্রেশ হয়ে টেবিলে বসে চিন্তা করছে কিভাবে এই দিন টা পার করা যায়? এই দিনটা বারবার কেন আসছে? তার কি কোনো ভুল হচ্ছে? কিছু বাদ যাচ্ছে? সে অনেক চিন্তা করলো। কিছুই মাথায় আসছে না। মহাজগৎ তাকে কি বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছে?
পেজ- ৪
সাব্বির অনেক চেষ্টা করেও সন্ধ্যার পর কি হয়েছে সেটা মনে করতে পারছে না। এর আগে কবে কি হয়েছে সবই তার মনে আছে। তাহলে সন্ধ্যার পর কোনো সমস্যা হচ্ছে? কি হতে পারে? তার কবিতাটা কি স্যার এর পছন্দ হচ্ছে না? তাহলে একটা নতুন কবিতা লেখা যাক।
----------------------------------------------------------
বাইরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। টেবিলে বসে সাব্বিরের মনে হলো, আজকে তানিয়ার সাথে দেখা করে ব্যাপারটা আলোচনা করতে হবে। তানিয়াকে বোঝানো কষ্ট হবে। কবিতা পরিবর্তন করার পরেও তার দিন পার হচ্ছে না। এখানে অন্য কোনো সমস্যা আছে।
এই মেয়েটাকে সে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু কখনও কিছু বলে ওঠার সাহস হয় নি। ছোটোবেলা থেকে স্কুল-কলেজ-অনার্স সব এক এলাকায়। তার সমস্যাটা বুঝলে সেই বুঝবে। কিন্তু কিভাবে শুরু করা যেতে পারে?
----------------------------------------------------------
সাব্বির এর কিছুতেই মাথা কাজ করছে না। শেষ কয়েকটি চক্রে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটে সে নিহত হয়েছে, কিন্তু সেই একই অবস্থা , সেই বৃষ্টির সকাল, তার মায়ের ডাক, টেবিলের ডান দিকে চা রেখে যাওয়া। কোনো অমিল নেই । এটা তানিয়াকে বোঝানো সমস্যা। পরক্ষণেই মনে হলো, এটা তানিয়াকে বলে কি হবে? তার তানিয়াকে বলাই লাগবে কেন?
পেজ- ৫
তানিয়া সাব্বিরের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ সে বললো,"তুই কবিতা বাদ দিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা শুরু কর। একেবারে ২০০ ওয়াটের বাল্বের মতো শাইন করবি।” সাব্বির জানতো এসব হবে, তানিয়াকে বিশ্বাস করানো যাবে না। সাব্বির বলল , "আমি জানতাম তুই বিশ্বাস করবি না, তোকে দেখাচ্ছি (আঙ্গুল উঁচিয়ে) ওই বাসায় একটু পর একটা গামলা পড়ে ঝন ঝন করে শব্দ হবে।” তাই হলো।
"এই রাস্তা দিয়ে দুইটা কুকুর যাবে, একটা সাদা একটা কালো।” দুইটা কুকুর তাদের পাশ দিয়ে চলে গেলো।তানিয়া বলল,
"আরে এগুলো তো এমনিই হয়।”
"তোর ফোন বের কর।”
"(অবাক হয়ে) মানে?”
"বের করবি তো।”
তানিয়া ফোন বের করা মাত্র রিং বেজে উঠলো। সাব্বির বললো, "তোর বাবা ফোন দিয়েছে। আজকে বাসায় কেও থাকবে না। তোকে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে বলবে।” ফোন কানে ধরে অবাক হয়ে সাব্বিরের দিকে তাকিয়ে আছে তানিয়া। কথা শেষ করে বললো,"আচ্ছা তোর কথা বিশ্বাস করলাম নে, কিন্তু এরকমটা হবার কারণ কি?”
কাঁদো কাঁদো হয়ে সাব্বির বলল,"সেটাই তো বুঝতে পারছি না।"
তানিয়া সাব্বিরের হাত ধরে বলল, "চিন্তা করিস না, কিছু একটা উপায় বের হবে।”
পেজ- ৬
হাতটা কোলের উপরে নিয়ে সাব্বির ভাবছে, এর আগে তানিয়া কখনও তার হাত ধরে কথা বলেনি। মেয়েটার প্রতি তার প্রেমবোধ হচ্ছে। কবিতা লেখা শেষ করে সাব্বির ভাবছে তানিয়াকে জানানো দরকার যে সে তার প্রেমে পড়েছে। এতগুলো চক্রে সে একবারও এই কাজটি করে তানিয়ার প্রতিক্রিয়া দেখার চেষ্টা করেনি। তবে আজকে সেটা হবে না। চাচা আর চাচাতো ভাই আসবেন, তাদেরকে একটু সময় দেয়া দরকার।
সন্ধ্যায় কথাপ্রসঙ্গে তার চাচাতো ভাই নাদিম বলে বসলো,
"কিরে তোর বান্ধবীর খবর কি?”
সাব্বির অপ্রস্তুত হয়ে বলল,"ভালো আছে!”
"ইশ! লজ্জা পাচ্ছে রে।”
সাব্বির একটু রেগে নাদিমের দিকে তাকিয়ে থাকলো।
"ওকে কিছু বলেছিস?”
"নাহ ভাইয়া! তুমি না অনেক যন্ত্রণা দিচ্ছো। যাওতো!”
নাদিম হো হো করে হেসে উঠলো।
----------------------------------------------------------
একটা শব্দ! অনেক চেষ্টা করে সাব্বির একটা শব্দের কথা মনে করতে পেরেছে। সে আগে খেয়াল করে নি। প্রতিবার যে ঘটনাগুলো ঘটে তার সাথে এই অস্পষ্ট আওয়াজটা যুক্ত হয়েছে। এর আগে হয়তো শব্দটা শুনেছে কিন্তু খেয়াল করে নি। হয়তো তেমন কিছু না।
আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, সে চাইলেও আগের দিনে ঘুমাতে যাওয়ার কথা মনে করতে পারেনা। তার দিন টা হঠাৎ করে শুরু হয়ে যায়। দিন শেষ হয় কিভাবে এটা সে বুঝে উঠতে পারে না।
পেজ- ৭
কলেজে কবিতা জমা দিয়েই তানিয়ার সাথে দেখা করার জন্য বের হয়ে গেলো সাব্বির। অন্যদিনের মতো আজকে লাইব্রেরীতে বসবে না। তাদেরই এক বান্ধবী, নাদিয়ার বিয়ে , তানিয়া ওখানে গেছে। তারও যাওয়ার কথা ছিলো। গত ৫০০ চক্রে সে অলসতা করে তার বান্ধবীর অনুষ্ঠানে যায় নি , তাহলে পাঠক বুঝুন কি পরিমাণ অলস। আজকে সে অনুষ্ঠানে গেলো । হাতে "অনেক" সময় আছে।
বিয়ে বাড়িতে গিয়ে সাব্বির দেখলো সেখানে মেয়েরা অনেকেই এক রকম শাড়ি পরে আছে। বিয়ে বাড়িতে এরকম হয়, তানিয়া নিজেও এই দলে আছে। এতগুলো মানুষের ভেতর তানিয়াকে বের করাটা সময়সাপেক্ষ এবং দেখে দেখে বের করাটাও বিব্রতকর।
"কিরে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখছিস? " পেছন থেকে সাব্বির তার জামায় টান অনুভব করলো। পিছে ঘুরে দেখলো তানিয়া।
"(ভেংচি কেটে) ধুর! তোকেই খুঁজছি। একটু আগে ক্যাম্পাস থেকে আসলাম।”
"আমি তো ভেবেছিলাম তুই আসবি না। তুই যে অলস!”
"ভাবলাম নাদিয়ার সাথে দেখা করে যাই। বাসায় কাজ আছে।”
"ঘুমাবি তাইতো?”
"আরেহ না। চাচা আসবে।”
অনুষ্ঠান থেকে বের হবার সময় সাব্বির একবার তানিয়ার দিকে তাকালো। প্রতি চক্রেই দেখে , কিন্তু, আজকে শাড়িতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তানিয়াকে।
শেষ পাতা
বৃষ্টিস্নাত সকালে দুইটা কবিতা লেখলো সাব্বির। একটা কলেজ ম্যাগাজিনের ,অন্যটি তানিয়ার জন্য। তানিয়াকে সে অনেক ভালবাসে। তার মনের কথা আজকে কবিতা দিয়ে জানিয়ে দেবে।
ক্যাম্পাসের কাজ শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় মনে হলো, দিনটি অন্যরকম লাগছে, মনে হয় প্রেমে পড়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। বাসায় গিয়ে রেডি হয়ে তাড়াতাড়ি বের হয়ে এলো সে। তার চাচারা আসবে সন্ধ্যায়, এর আগেই বাসা থেকে বেরোতে হবে।
তানিয়া আজকে শাড়ি পরে এসেছে। বান্ধবীর বিয়েতে গেছিলো। অনুষ্ঠান শেষে বাসায় যাচ্ছে। সাব্বির অপেক্ষা করছিলো। তানিয়া তাকে দেখে বললো,"কিরে সাব্বির অনুষ্ঠানে আসলি না যে, কাজ ছিলো?” সাব্বির মাথা নেড়ে তানিয়ার সাথে ওর বাসার দিকে হাঁটছে। তানিয়া অনুষ্ঠানের গল্প বলে যাচ্ছে, সাব্বির মাথা নীচু করে তানিয়ার কথা শুনছে।
তানিয়ার বাসা দেখা যাচ্ছে। রাত হয়েছে, মনে হচ্ছে বৃষ্টি শুরু হবে। তানিয়া সাব্বির কে বাসায় চলে যেতে বললো। সাব্বির চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে । তানিয়া জিগেস করলো,"কিছু বলবি?” সাব্বির বলল,"তোর জন্য একটা কবিতা লেখেছি। ” তানিয়া অবাক হয়ে বলল,"তাই!! এতক্ষণ বলিস নি? পড়ে শোনা।” সাব্বির হাতের কাগজটা বের করে ধীরে শুরু করলো,
সর্বনাশা বারিষ!
তার কথা করিয়ে মনে ,
দিচ্ছ ভিজে বালিশ!
ঠান্ডা শীতল,বর্ষা দিনে
চোখ বোজারই খোয়াইশ!
সর্বনাশা বারিষ!
চোখের পাতা এক হলে হয়,
তার স্মৃতিরই নালিশ।
তানিয়া সাব্বির এর দিকে তাকিয়ে আছে। খুব লজ্জা লাগছে, নাম না দিয়েই কবিতা লেখে ফেলেছে। তানিয়া আস্তে করে বললো,”খুব সুন্দর কবিতা (একটু থেমে) আর কিছু বলবি? "সাব্বির মাথা নেড়ে বললো, "তানিয়া আমি তোকে ...”। কথা শেষ হবার আগেই "বুম" করে একটা আওয়াজ আসলো। তানিয়া চিৎকার দিয়ে চোখ বন্ধ করে তাকে জড়িয়ে ধরলো। সাব্বির আধবোজা চোখে দেখলো , বজ্রপাতে তানিয়াদের বাড়ির কাছের ট্রান্সফর্মার টা বিস্ফোরণ হয়ে এক পাশ খুলে তানিয়াদের বাড়ি সোজা চলে গেলো। তানিয়ার রুমের জানালা ভেঙ্গে, সেই অংশটুকু ভেতরে গিয়ে আরেকটি বিস্ফোরণ হয়ে তাদের বাড়িতে আগুন ধরে গেলো। দূর থেকে সাইরেন এর আওয়াজ আসলো কিছুক্ষণের মধ্যেই।
----------------------------------------------------------
আজকে আকাশ পরিষ্কার। অনেকটাই আনন্দিত হয়ে সাব্বির বাইরে গেলো । বাইরে গিয়ে দেখে তানিয়া তার বাসার সামনে। তার সামনে গিয়ে সাব্বির নীরবে চোখের পানি ফেলছে। তানিয়া বললো,"কিরে কান্না করছিস কেনো? আমাদের কিছু হয়নি। কেও বাসায় ছিলো না।”
সাব্বির একটা হাসি দিলো এবার। সে আজকে পৃথিবীর অন্যতম সুখী একজন মানুষ।